মাধ্যম হয়ে দাড়ায়। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম। অথচ কয়েকটি সংগঠন ধর্মকে পুঁজি করে দেশের মধ্যে অশান্তি শুরু করেছে। বাংলাদেশে আজকে হেফাজত যা করছে তা কিন্তু নতুন নয়। বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলাম সংগঠনটি ধর্মীয় সামাজিক সংগঠন হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার দাবি করলেও এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দেরা সংগঠনটিকে এমন সব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত করেছেন যা রাজনৈতিক সহিংসতা, ধ্বংসযজ্ঞসহ নানা ঘটনায় কখনও নেতৃত্ব দিয়েছে, কখনও ব্যবহৃত হয়েছে। হেফাজতের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি ও তাদের দোসররা নিয়মিত বিরতিতে এমন ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। উদার অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি চর্চা যাদের করার কথা তাদের ভেতর থেকে চিন্তাশক্তির ক্ষয় যে ঘটছে তার প্রমাণ বারবারই পাচ্ছি আমরা। মৌলবাদী শক্তিই এখন সব রাজনীতির হাতিয়ার। উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হলে সাম্প্রদায়িক সংগঠনকে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া উপায় নেই। না করলে তারা দেশজুড়ে আগুন লাগাবে। এবং এমনও হতে পারে বাংলাদেশ আফগানিস্তানেও রূপান্তরিত হতে পারে। হরতালের নামে নাশকতাকারী সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।